আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ইকুয়েডরের অন্যতম বৃহত্তম এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত লিটোরাল কারাগারে বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোরে গুয়াইয়াকিল শহরের লিটোরাল কারাগারের একটি প্যাভিলিয়নে এই সহিংসতা শুরু হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির জাতীয় কারাগার সংস্থা এসএনএআই জানায়, গুয়াইয়াকিল এবং এই কারাগারটি দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংগুলোর সহিংস সংঘর্ষের জন্য পরিচিত।
মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ কর্তৃপক্ষ কারাগারের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়। তবে সহিংসতার ঘটনা তদন্তে সেখানে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।
এ ঘটনায় অন্তত নয়জন বন্দির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হবে বলে জানিয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস।
ইকুয়েডরের কারাগারগুলো দেশটির সহিংসতার প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। জনবহুল কারাগারগুলোতে বন্দিরা অপরাধী নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে আসছে, যা নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লিটোরাল কারাগারে এর আগেও বহু দাঙ্গা এবং গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত বছর সেখানে দাঙ্গায় ৩০ জনের বেশি বন্দি নিহত হন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গ্যাংগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে ১০০ জনেরও বেশি প্রাণ হারান।
কয়েক মাস আগে কারাগারের পরিচালক মারিয়া দানিয়েলা ইকাজাও এক সশস্ত্র হামলায় নিহত হন। গত জানুয়ারিতে গ্যাং নেতা হোসে আদলফো ‘ফিতো’ ম্যাসিয়াস কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ইকুয়েডরে সহিংসতার নতুন ঢেউ শুরু হয়। পরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া।