সাহিত্য ডেস্ক :
ত্যাগের মহিমায় চির সমুজ্জ্বল মানব-হৃদয়!
আজ এক-সত্য মহান অন্তরে ভাগাভাগি করি
ঘরে কী বাহিরে, ঈদের আনন্দ দেশে-দশে-বিশ্বে
রব রব ওরে, প্রেমের প্রেরণা তুঁ আজহা-হৃদয়ে!
ফিরে দেখি প্রেম, সেই তুমি-আমি আদি সৃষ্টির দিনে
জগতের মাঝে দেখেছি কেবল ত্যাগেরই ফসল
এহি সত্য-সুন্দর প্রেমের অন্তরে উৎসর্গে -লিন!—
ফিরি শূন্য হাতে—শোধ করি আজ জীবনের ঋণ!
প্রাণে-প্রেমে দেখি ব্যর্থতার মাঝে কী ব্যথার পাহাড়
বিধাতার মতো গোপন থাকুক না-বলা কথা তার!
চন্দ্র-কলায় ফুঁসে সুসম সাগর—জগতের ভার—
আমার ‘আমি’রে কুরবানি করি আল্লাহু আকবার!
মাটিতে মিশে মাটি, সেজদা-মিলনে কাঁদে অন্তর্জল
মৃত চোখ জোড়া জগতের মতো একাক্ষে চেয়ে রয়
ত্যাগের মহাপথে রক্ত দিয়ে আঁকা প্রেমের হৃদয়
মানুষের জয়—’মহাকাল-এপিক’ এমনই হয়!—
কবি মেলে ধরে কবিতার খাতা, যথা বেঘোর প্রেমে
স্বর্গ ফেলে রেখে পৃথিবীতে ফিরে স্বর্গ-ধরণি-ধরা
অনা-আদি-বহে প্রভূত প্রবাহে প্রেমের হাওয়া—
জলের খোলসে গুপ্ত প্রাণ আঁকে ভ্রূণ-জল-কণা
দূর দিগন্তে ভাসে এক-সত্য-প্রেমের আদি-ইতিকথা
নদীর বাঁকে বাঁকে রক্তাক্ষরে লেখা নগর-সভ্যতা;
তবে মিসিং লিংক, ডিএনএ জিন—জানে না মানুষ
মানব-ইতিহাসে তার উৎপত্তি আজও অজানা!
ঘুরছে কেবল অনন্ত প্রবাহে—মিলে যায় শেষে
প্রেমের পৃথিবীতে প্রেমিক মানুষ তাকওয়া প্রেমে
এক-সত্য প্রিয়, প্রেমের হাসিতে প্রাণখোলা হাসি
এসো, আমার ‘আমি’রে কুরবানি করে প্রাণ খুলে হাসি।