1. admin@businessdigestbd.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

চবি নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক ঐক্যের প্রধান সমন্বয়কারী ড. শামিম উদ্দিন খান বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যা বল্লেন

বিজনেস ডাইজেস্ট ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪
  • ১১৪ বার পঠিত

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম বারের মতো রাজপথে আমাদের সাহসী ও নির্ভীক শিক্ষার্থীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। একবার ১৯৭১ এ পাক হানাদার বাহিনী থেকে এ দেশ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল, ২০২৪ আমাদের অকুতোভয় শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা আমাদের দিয়েছে, তাই আমরা পুরো দেশবাসী তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

যখন সারা দেশে কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দানা বেঁধে উঠেছিল, তখন আমাদের শিক্ষার্থীরা জীবন বাজি রেখে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছিল কিন্তু কিছু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারনে যখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে সহযোগিতা করার জন্য খুব সাহসী ও প্রতিবাদী প্রফেসর ড.শামীম উদ্দিন খান অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে সদস্যদের প্রথমে জুম মিটিং করেন এবং শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জোর তাগিদ জানান।

তারপরে সাদা দলের আহবায়ক সবার সম্মতি নিয়ে চবি শহীদ মিনারে মানব বন্ধনের ব্যবস্থা করেন তা পরিচালনা করেন ড. তানভীর হায়দার আরিফ, বক্তব্য রাখেন ড. এনায়েতুল্লাহ পাটোয়ারি, প্রফেসর ড. মজাম্মেল হক, প্রফেসর ড. আতিয়ার রহমান সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। বার্তা প্রেরণ করেন তরুন প্রফেসর ড. আতিয়ার রহমান। এখন শিক্ষার্থীদের কাছে ম্যাসেজ গিয়েছে সমন্বয়ক ড. আতিয়ার রহমান এইরকম সমন্বয়ক আরও অনেকেই আছেন যাদের অনেক অবদান রয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. শামিম উদ্দিন খান বলেন—সমগ্র বাংলাদেশে যখন ছাত্র কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুখর ঠিক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন দানা বেঁধে উঠে তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিন্ডিকেট সদস্য হিসাবে আমি আমার শিক্ষক বৃন্দদের প্রথমে জুম মিটিং এর আয়োজন করি। সেখান থেকে সম্মানিত শিক্ষকদের পরামর্শে অনেক ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে প্রথম শহীদ মিনারে মানব বন্ধন করে জোরালো ভূমিকা নেই। তারপরে ছাত্রদেরকে বিভিন্ন ভাবে বুদ্ধি পরামর্শ ও সহযোগিতা করে থাকি। তিনি বলেন- গতকাল প্রধান বিচারপতির নেতৃতে যে জুডিশিয়াল ক্যু করে সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব বরেণ্য ডঃ ইউনুসের সরকারকে ফেলে দেয়ার যে ষড়যন্ত্র করেছিল আমাদের ছাত্র সমাজের বলিষ্ঠ নেত্রিত্তের কারনে আবারও দেশ মহা বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন—একজন সিন্ডিকেট সদস্য হিসাবে আমার নেতৃত্বে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক ঐক্য গঠিত হলেও দায়িত্বের কারনে কখনও আমাকে নেপত্যে থেকে কাজ করতে হয়েছে আবার সব গুলো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে চরম বৈরিতা ও নিরাপত্তাহিনতার মধ্যে কাজ করতে হয়েছে। যেই সত্য অনেকেই জানেন না।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন শিক্ষক বলেন- আমারা অনেকেই সমন্বয়কের ভুমিকা পালন করেছি। কিন্তু পুরো আন্দোলনের মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন আমাদের প্রধান সমন্বয়কারী সিনিয়র শিক্ষক ও বর্তমান সিন্ডিকেট সদস্য সাদা দলের আহবায়ক প্রফেসর ড. শামিম উদ্দিন খান। তিনি আরও বলেন- কিছু শিক্ষক আন্দোলনের ধারে কাছেও আসেনি কিন্তু এখন তারা ভিসি, প্রো-ভিসি হওয়ার জন্য জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। যা বড়ই দুঃখজনক ও লজ্জার বিষয় বলে আমরা মনে করছি।
আরেকজন নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক ঐকের নেতা বলেন- এখন কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আমাদের জাতীয় বীর দ্বিতীয় স্বাধীনতার রাজপথের যোদ্ধা আমাদের ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে তারা চেয়ারে বসতে চায় যা নির্মম সত্যকে আড়াল করবার মতো। আমাদের ছাত্ররা যদি আসল সত্যি জানতে চায় আমরা দ্ব্যাথহীনভাবে তাদের বলবো সিন্ডিকেট সদস্য ড. শামিম উদ্দিন খানই আমাদের প্রধান সমন্বয়ক। যার প্রমান আমাদের হাতে আছে ছাত্ররা দেখতে চাইলে শুনতে চাইলে আমরা অবশ্যই দিব।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর