জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্যাতন ও গুম হওয়ার অভিযোগ এনে ছাত্রশিবিরের আরও সাত নেতাকর্মী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়েছেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) তারা ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগে অভিযোগ জমা দেন।
ভুক্তভোগীরা হলেন—দেলোয়ার হোসেন মিশু, নুরুল আমিন, কামরুজ্জামান, মো. আলমগীর হোসেন (বগুড়ার শেরপুর), আব্দুল করিম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুরের মো. জনি ইসলাম এবং সাইফুল ইসলাম। অভিযোগে মোট ৫৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। অভিযোগগুলোতে আসামির তালিকায় রাখা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫৩ জনকে।
অভিযোগকারীদের মধ্যে দুজন গুম থেকে ফিরেছেন। একজন এখনো নিখোঁজ। আর বাকি চারজনকে নির্যাতনের মাধ্যমে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিবিরের আইন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের সময় বাসা থেকে তুলে নিয়ে প্রথমে গুম করে নির্যাতন করা হয়। এরপর মিথ্যা মামলা দিয়ে পাঠানো হয় আদালতে।
এর আগে ৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ করেন যশোর ও জয়পুরহাটের ছাত্রশিবিরের চার নেতা। এছাড়া ২১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে শিবিরের ছয় নেতাকর্মী অভিযোগ দাখিল করেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, আজকের সাতটি অভিযোগসহ ছাত্রশিবিরের সহযোগিতায় ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত ১৭টি অভিযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি অভিযোগের ভুক্তভোগী ছাত্রশিবিরের কর্মী এবং একজন সাধারণ শিক্ষার্থী।
ছাত্রশিবিরের পক্ষে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, জুলুম-নির্যাতনকারীরা যেন শাস্তির আওতায় আসে এবং নিখোঁজ ব্যক্তিরা যেন ফিরে আসেন, সেই দাবি জানাই।