আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ইরানের সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চার সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া কিছু রাডার সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোররাতে ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের দাবি, ইরান ও তার মিত্রদের মাসের পর মাস ধরে চলা আক্রমণের জবাবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
ইরানের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইলাম, খুজেস্তান এবং তেহরান প্রদেশে অবস্থিত ঘাঁটিগুলোতে হামলা হলেও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্রিয়তার কারণে হামলাগুলোর প্রভাব সীমিত ছিল এবং কেবল কিছু রাডার সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ইরানের সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে, এ ঘটনায় তাদের চারজন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।
তেহরানে আল জাজিরার প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ইসরায়েলের এই হামলা ইরানের উত্তরে, পূর্বে এবং দক্ষিণে বিস্তৃত স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো হলেও মূল আক্রমণের কেন্দ্র ছিল তেহরানে। ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ও ড্রোনগুলো ছিল হামলার মূল নিশানা।
ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (সিএও) জানিয়েছে, দেশজুড়ে বিমান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়েছে এবং কোনো বিমানবন্দর আক্রান্ত হয়নি।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরান এবং এ অঞ্চলে তার মিত্ররা গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েলের এর প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার ও কর্তব্য রয়েছে।
এদিকে, ইরানের সীমান্ত রক্ষায় ‘কোনো সীমা নেই’ বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা দেখিয়েছি, নিজেদের রক্ষা করার ক্ষেত্রে আমাদের সংকল্পে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।
এর আগে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, তাদের মাটিতে হামলার পর ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার ও বাধ্যবাধকতা রয়েছে।